,

ব্রীজের দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষের দুর্ভোগ

মো. নজরুল ইসলাম: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের গাড়াবাড়ি নদীর ওপর নির্মিত ব্রীজের দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় ১৫ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের যোগাযোগের এক মাত্র রাস্তাটি দিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ব্রীজ থাকতেই ১৫ গ্রামের মানুষের চলাচলের এক মাত্র ভরসা হলো নৌকা। এই ব্রীজ দিয়ে কোন কাজেই আসছে না জনগণের।

সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, গাড়াবাড়ি হাটখোলা ও নলকা-দশসিকা সড়কের পাশে অবস্থিত গাড়াবাড়ি-বড়হর সড়কে প্রায় ৬ মাস আগে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে এই ব্রীজটি কামারখন্দ উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ নির্মাণ করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ এর সংযোগ সড়ক না করায় এই এলাকার ৪টি প্রাইমারি স্কুল, ১টি কলেজ, ১টি মাদ্রাসা, ২টি মাধ্যমিক স্কুলের প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থীসহ ৩০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় নদী পাড় হচ্ছে ঐ ব্রীজের পাশ দিয়ে।

গ্রামীণ জনসাধারণের যোগাযোগ লাগবে জেলার ৯ টি উপজেলায় গত ২ বছরে ১২০ টি ব্রীজ নির্মাণ করেন ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ। স্ব স্ব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইঞ্জিনিয়ারের সঠিক তদারকি না করার কারণেই এসব ব্রীজের সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রীজগুলোর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারছে না জনগণ। প্রায় ব্রীজগুলোই অচল হয়ে পড়ে আছে, কোন কাজই আসছে না গ্রামীণ জনসাধারণের। এ বছর আবার নতুন করে জেলায় ১০১ টি ব্রীজ নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এলাকাবাসীর দাবী, এসব ব্রীজ নির্মাণের সাথে সাথেই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হলেই ব্রীজগুলো জনগণের উপকারে আসবে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাজশাহীর মেসার্স নির্জন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মিলন রহমান জানান, এলাকাবাসী মাটি না দেওয়ায় বর্ষার আগে কাজটি শেষ করা সম্ভব হয়নি। বর্ষার পানি সরে গেলে সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে, কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারের কিছু বিল পরিশোধ করা হয়নি। সে হিসেবে বর্ষার পানি নেমে গেলে ঠিকাদারের কাজটি করে দেওয়ার কথা রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, বর্ষার কারণে সময় মত কাজটি করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্ষার পানি নেমে গেলেই সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হবে। তখন আর এলাকাবাসীর এই দুর্ভোগ থাকবে না।

উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম শহিদুল্লাহ সবুজ বলেন, আমি সেখানে গিয়ে দেখেছি। ওখানে বর্ষার পানি থাকায় কাজটি করা সম্ভব হচ্ছে না। পানি সরে গেলে এলাকাবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর